বৃষ্টি বিলাস
-এই ! এই ! এই হ্যালো শুনছো ?
-হু
– নাস্তা করছো ?
– হু করতাছি।
-কি খাচ্ছ ?
– গান খাচ্ছি।
-মানে ? তুমি আমার সাথে ফাইজলামী করতাছো ?
-উহু।
-আবার উহু। সত্যি কইরা বল কি দিয়া নাস্তা করছো।
– ওয়ারফেজের দুইটা গান আর আর্টসেলের দুইটা। প্রায়ই দিনই তো গান দিয়া নাস্তার কাজ চালাই । 🙂
-আবার ফাইজলামী। মাইর চিন মাইর ?
-উ।
-ধ্যাত ,কথা বলো না কেন ?
-বৃষ্টি দেখি ।
– ও আল্লাহ সত্যি ? তোমাদের ওখানে বৃষ্টি হচ্ছে ?
– তাই তো । আকাশ কাঁদছে।
-মানে ?
-তোমার অভাবে ।
-ধ্যাত কি বল এই সব।
-হুম ।
-টিপটিপ করে নাকি ঝুম-ঝুম বৃষ্টি ?
-কুত্তা-বিলাই বৃষ্টি হইচ্ছে।
– এই কুত্তা-বিলাই মানে কি সব বল । তোমাকে নিয়ে আর পারলাম না।
– কেটস এন্ড ডগস ।
– ও তাই বুঝি ? তুমিও না পার।
-কি পারি?
-না থাক কি করবা এখন ?
-হুম । রাখি হে ? বৃষ্টিতে ভিজব। তুমি ভিজবে ?
-রাখবা মানে ? আর একটু কথা বলি না প্লিজ।
-বৃষ্টি বিলাস করতে হবে যে।
আদ্রিতা আদুরে গলায় বলে
– হু আমারও না ভিজতে ইচ্ছে করছে ।
-ভিজো না করেছে কে । আমি এখানে ভিজি আর তুমি তোমার এখানে ভিজ।
-উ
-কি হল।
-উউউমম কি করি । এখানে তো বৃষ্টি হচ্ছে না ।
-কি আর করা তাহলে বসে থাক।
-উমম্ম।
-তাহলে এক কাজ কর তুমি বাতাসে ভিজ আমি বৃষ্টিতে ভিজি ।
-আবার ফাইজালামী কর ।
-এই শোন ।
-কি ?
-তাহলে এক কাজ কর বাথরূমে গিয়ে ঝর্নার নিচে দাঁড়াও
-এই আবার দুষ্টামী কর ? আমি তোমার সাথে বৃষ্টিতে ভিজতে চাই।
-উউউ। আচ্ছা।
-ঠিক আছে তুমি রাখ বৃষ্টিতে ভিজে আসো। আমি রাখি।
ফোন রাখার পরেও অনেকক্ষন দরজার কাছে দাড়িয়ে চুপ চাপ রইলাম । এই মেয়ের জন্য এখন আমি বৃষ্টি কিভাবে পাই ?এখনও ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে ।
কিন্ত কেন যেন আমারও বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছে না। শুধু আদ্রিতার বলা কথাটা মনে পড়ছে “আমি তোমার সাথে বৃষ্টিতে ভিজতে চাই।”
মেয়েটা তো আমার কাছে কিছু চায় না সাধারণত । কোন কিছু দিতেও পারি না ওকে ।
মনে হল থাক আজ না হয় নাই ভিজলাম, কি আসে যায়।
একটু পরে আদ্রিতা ফোন দিল।
-এই ! এই ! এই হ্যালো
-হু
-এই ভিজেছ ?
-উহু ।
-কেন ?
– আজকে না হয় না’ই ভিজলাম আজকের ইচ্ছেটা রেখে দিলাম তোমার সাথে ভিজব বলে ।