• Home
  • আলোচনা

স্টকহোম সিনড্রোমঃ অদ্ভুত এক মানসিক পরিস্থিতি

ইন্ডিয়ান হাইওয়ে মুভি, আলিয়া ভাট রণদ্বীপ দ্বারা কিডন্যাপ হয়। কিন্ত শেষ পর্যন্ত আলিয়া ভাট রণদ্বীপের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়ে ! কোথায় তার প্রতি তীব্র ঘৃনা বা রাগ জন্মানোর কথা ঘটল কি ? উল্টোটা !

আশ্চর্য না?

আপনাকে একজন অপহরণকারী অজানা-অচেনা একটি জায়গায় নিয়ে গেল ।এদিকে পরিবারের লোকজন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো আপনাকে খুঁজে হয়রান। এভাবে কেটে গেল কয়েকদিন, সপ্তাহ কিংবা মাস! অবশেষে এই বন্দী দশা থেকে মুক্ত  করল উদ্ধারকারী দল।

স্বাভাবিকভাবেই  এ সময় আপনি প্রচণ্ড ক্ষোভের সাথে বলবেন আপনার সাথে কী কী খারাপ ঘটনা ঘটেছে । কতটা মানষিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন

কিন্তু না ! আপনি সবাইকে অবাক করে দিয়ে অপহরণকারীর পক্ষ অবলম্বন করলেন। তাকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এমনকি আরও অবাক করা কথা বললেন যে,  অপহরণকারীর একজনের প্রেমে পড়ে গিয়েছেন আপনি।

আর, আদর করে সাইকোলজিস্টরা এই অদ্ভুত পরিস্থিতিটার নাম দিয়েছেন  স্টকহোম সিনড্রোম (Stockholm syndrome)।

স্টকহোম সিনড্রোম কি?

স্টকহোম সিনড্রোম খুবই বিরল একটি মানসিক ক্রিয়া। মনস্তাত্ত্বিক এ ধারণাটি প্রথম বিকাশ লাভ করে ১৯৭৩ সালের ২৩ শে আগস্টের সকালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের স্পেরিকাস ক্রেডিট ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনার জের ধরে। ব্যাংকের ভল্টে থাকা ৪ কর্মকর্তাকে জিম্মি করে ফেলে ২ জন ডাকাত। ৪ জনের ৩ জনই নারী এবং ১ জন পুরুষ।

ডাকাতদলের মধ্য থেকে Jan-Erik Olsson নামে অপরাধীদ ব্যাংকে ঢুকেই কক্ষের ছাদে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে এবং ইংরেজিতে এই গানের লাইন বলে চিৎকার দিতে থাকে- “The party has just begun” । এরপর মাঝে মাঝে চেয়ার এ বসে মাতালের সুরে গান গাইতে থাকে, অর্থাৎ আক্রমণের শুরুর দিকে ডাকাত বেশ ভৌতিক আচরণ করতে থাকে। ফলে একটা ভীতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

স্টকহোমে জন-এরিক ওলসনের জিম্মি করা এবং পুলিশের উদ্ধার করার কিছু দৃশ্য; Image Courtesy: roughdiplomacy.com

ঘটনাটি ইউরোপ, আমেরিকা সহ সারা বিশ্বেই খবরের শিরোনাম হয়। তৎকালীন সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী নিজে এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন।

ব্যাংকের এক ভল্টের মধ্যে বন্দী থাকা ওই চারজন জিম্মি অপহরণকারীর প্রতি দুর্বলতা দেখাচ্ছিল।  কিন্তু এ অবোধ্য আচরনের কারণ কী?

কারণ হিসেবে ধরা হয় ওলসনের আচরন। সে ভয়ের বদলে মুগ্ধতা ছড়াতে লাগলো। বন্দিদের একজন ক্রিস্টিন এনমার্ক যখন শীতে জবুথবু, তখন ওলসন ‘পরম মমতায়’ তার গায়ে একটি উলের জ্যাকেট মুড়িয়ে দিলেন। এমনকি নিজের আগ্নেয়াস্ত্র থেকে একটা বুলেট খুলে নিয়ে ক্রিস্টিনকে দিলেন মেমেন্টো হিসেবে রাখার জন্য।

অন্য দিকে আর এক নারী বন্দি বিরগিত্তা লুন্দব্লাদ ((Birgitta Lundblad)) যখন নিজের ঘরে ফোন করতে গিয়ে বারবার লাইন পাচ্ছিলেন না, তখন তাকে আত্মবিশ্বাস জাগানো সুরে ওলসন বললেন, ‘চেষ্টা চালিয়ে যাও, হাল ছেড়ো না।’

আরেকজন জিম্মি এলিসাবেথ ওল্দগ্রেনের আবদ্ধ জায়গায় দম আটকে আসছে দেখে তাকে ত্রিশ ফুট দড়ির সাথে জুড়ে দিয়ে ভল্টের বাইরে হাঁটার ব্যবস্থাও করে দিলেন তাদের মনে ‘ভালো কিডন্যাপার’ ক্ষ্যত ওলসন।

ওলসনের এমন সব কাজে চার বন্দির মন গলে গেল । বন্দিদের সাথে তাদের কিডন্যাপারের সখ্য গড়ে উঠলো ক্রমশ।  উপরন্তু তারা পুলিশকে ভয় পেতে শুরু করলেন এই ভেবে যে পুলিশের উদ্ধার অভিযানই হয়তো তাদের মৃত্যুর কারণ হবে। এনমার্ক তো একেবারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফোন করে ওলসনদের সাথে চলে যাওয়ার আবদার জুড়েছিলেন !

এরিক ওলসনের দাবি ছিল তাকে সাত লাখ ডলার দিতে হবে, পালানোর জন্য একটা গাড়ি সরবরাহ করতে হবে এবং ক্লার্ক ওলফসন নামের আরেকজন কারাবন্দীকে মুক্তি দিতে হবে। তার কথা মতো কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কর্তৃপক্ষ সবগুলো দাবি পূরণ করে ফেলে।

ছয় দিন পর এই জিম্মিদশার অবসান ঘটে দুইজনের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে। অবশেষে পুলিশ সবাইকে প্রায় ৬ দিন মানে ১৩১ ঘন্টা জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করে এবং ডাকাত দলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

হাতকড়া পরিয়ে ডাকাত Jan-Erik কে নিয়ে আসা হচ্ছে

তারপর ঘটলো সেই আশ্চর্য ঘটনা।  মুক্ত হয়ে তাক লাগানো কথা বলেন জিম্মি হওয়া ৪ জন। ডাকাতদের বিচার সম্পন্ন করতে আদালত এবং পুলিশকে কোনোভাবে তারা সাহায্য করতে রাজি হয় নি বন্দিরা ।  সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জিম্মিরা অপহরণকারীদের প্রতি পূর্ণ সহানুভূতিময় সমর্থন জানায় !

অপহরণকারীদের আটক করা হলে তাদের মুক্তির জন্য অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করেন। মজার ব্যাপার হলো ব্যাংকের এক নারী কর্মকর্তা এরিকের প্রেমে পড়ে যান !

এই Irrational relationship কে ১৯৭৪ সালে একজন সুইডিশ মনস্তত্ত্ববিদ নাম দেন স্টকহোম সিনড্রোম। জিম্মী অপহরণকারীর সান্নিধ্য, সহাবস্থান, সমর্থন, সহানুভূতিকে ধরে নেয় এমন অনুভূতি কারো কাছ থেকে পায় নি। যার ফলাফল ভয়ানক। 

স্টকহোম সিনড্রোম হচ্ছে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া। জিম্মি ও অপহরনকারীর মধ্যকার এ মানসিক সংযোগ তৈরি হতে পারে দিন, সপ্তাহ, মাস এমনকি বছরের পর বছর জিম্মিদশায় থাকার ফলে।

ভয়, আত​​​​ঙ্ক বা ঘৃণার পরিবর্তে জিম্মি এক্ষেত্রে তার অপহরকারীর প্রতি সহানুভূতিশীল হতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে বন্দী, জিম্মিকারীর উদ্দেশ্যকে নিজের উদ্দেশ্য বলে ভাবতে শুরু করেন, তার কাজে সাহায্য পর্যন্ত করে থাকেন। এ সিনড্রোমের ফলে জিম্মির পুলিশ বা উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষের প্রতি নেতিবাচক মনেভাব জন্মাতে শুরু করে, এমনকি উদ্ধার অভিযান ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টাও অনেকে করে থাকে।

তবে এই টান যে শুধুমাত্র পণবন্দী ব্যক্তিদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয় তা কিন্ত নয়। একই অবস্থা ঘটতে পারে শিশু নির্যাতন, স্ত্রী নির্যাতন, এমনকি ধর্ষণের মতো ঘটনার ক্ষেত্রেও। যেমন কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে ব্যাপক নির্যাতনের পর তার প্রতিবেশী বা বাপের বাড়ীর লোকেজন মামলা করলে, এই উপসর্গের কারনে আদালতে স্ত্রীকে দেখা যায় নির্যাতনকারী স্বামীর পক্ষেই অবস্থান নিতে।

তবে স্টকহোম সিনড্রোম যে সব জিম্মির সাথে অবশ্যই ঘটে এমন না এবং এটি ঘটার পেছনের কারণও অস্পষ্ট। তবে অনেক মনোবিজ্ঞানী মনে করেন স্টকহোম সিনড্রোম হচ্ছে জিম্মির এক প্রকার কোপিং মেকানিজম। জিম্মিকে এই ভয়ানক দশায় টিকে থাকতে সাহায্য করে এ সিনড্রোম।

১৯৯৯ সালে এফবিআই-এর এক রিপোর্টের হিসেবে দেখা যায়, মাত্র ৮% বন্দি স্টোকহোম আক্রান্ত হতে পারে।  ৯২ শতাংশ জিম্মি কখনোই স্টকহোম সিনড্রোমের কোনো লক্ষণ দেখান না।

আরো কিছু উদাহরণ দেখি চলুন

মেরী ম্যাকইলোরী

১৯৩৩ সালে ২৫ বছরের মেরিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কিছু অপহরণকারী। মেরীর বাবা ধনী রাজনীতিবিদ হওয়ায় অপহরণকারীরা ৬০,০০০ হাজার ডলার মুক্তিপণ চায় এবং পরে ৩০,০০০ হাজার ডলারেই মেরীকে মুক্তি দেয়।মজার ব্যাপার হল অপহরণকারীরা গ্রেফতার হলেও আদালতে দাঁড়িয়ে মেরি অপহরণকারীদের সমর্থনই করেন !

ঘটনা কিন্ত এখানেই শেষ হলে কথা ছিল বরং মেরি অপহরনকারীরেদের জেলখানায় নিয়মিত তাদের জন্যে উপহার সামগ্রী নিয়ে যেত।  যখন বিচার শেষে তিনজনকে কঠোর শাস্তি দেয়া হয়, মেরী তখন অপরাধবোধে কুঁকড়িয়ে ওঠে। মেরী প্রকাশ্যে তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাতে থাকে এবং আদালতকে অনুরোধ করে তাদের শাস্তি কমিয়ে দিতে।

কারাগারে তাদের দূর্দশা দেখে এবং ১৯৩৯ সালে তার বাবার মৃত্যুর পরে পুরুপুরি ভেংগে পড়ে। ১৯৪০ সালের ২১ শে জানুয়ারি ৩২ বছর বয়সে মেরি আত্মহত্যা করেন ! একটা নোট লিখে রেখে যান তিনি, যেখানে লেখা ছিল-

“My four kidnappers are probably the only people on Earth who don’t consider me an utter fool.“

“আমার চারজন অপহরণকারীই সম্ভবত পৃথিবীতে একমাত্র মানুষ যারা আমায় পুরোদস্তুর বোকা ভাবেনি।”

প্যাটি হার্স্ট

প্যাটি হার্স্ট ছিলো একজন কোটিপতি প্রকাশকের উত্তরাধিকারী। সে অপহৃত হয়েছিলো সিমবায়োনিজ লিবারেশন আর্মি (SLA) নামের একটা গ্রামীণ গেরিলা দল দ্বারা। কিন্তু ঘটনার দু’মাস পরেই তাকে দেখা যায় অপহরণকারীদের সাথেই স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে একটা ডাকাতিতে।

এমনকি পুলিশের কাছে ধরা পড়ার পরও সে পারিবারিক পরিচয় গোপন করে এবং নিজেকে একটি মিথ্যা নামে (তানিয়া) পরিচয় দেয়। আদালতে এক পর্যায়ে যখন SLA এর প্রতি তার সহানুভূতির কথা সে প্রকাশ্যে জানায় তখন ৭ বছরের কারাদন্ডের আদেশও তাকে তার অবস্থান থেকে সরাতে পারেনি। পরবর্তীতে মানসিক অসুস্থতার কথা বলে এফ. লি বেইলি নামের একজন উকিল তার মুক্তির ব্যবস্থা করেন !

নাতাশা ক্যাম্পুশ

অস্ট্রিয়ায় ত্রাস সৃষ্টিকারী ডাকাতদল ‘উলফগ্যাং প্রিকলোপিল‘ এর দ্বারা  নাতাশা ক্যাম্পুশ মাত্র দশ বছর বয়সে  অপহূত হয়।  প্রায় আট বছর পর নাতাশা পালিয়ে নিজ বাড়ীতে ফেরেন। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, পালানোর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নাতাশাকে জিম্মায় রাখা অপহরণকারী চলন্ত রেলের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

অন্যদিকে নাতাশাও তার অপহরণকারীর মৃত্যুশোকে কাতর হয়ে পড়েন। নাতাশা বিলাপ করে বলতে থাকেন যে তার ঐ অপহরণকারী ব্যক্তিটি ছিলো আপাদমস্তক একজন দুঃখী মানুষ। তাকে ছেড়ে আসার কারন ঐ ব্যক্তি ছিলোনা, ছিলো তার পেশা ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি।

এলিজাবেথ স্মার্ট

স্টকহোম সিনড্রোম নিয়ে সবচেয়ে বিখ্যাত, সাম্প্রতিক এবং আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা হলো এটি। ২০০২ সালের ৫ জুন নিজের বাড়িতে শোবার ঘর থেকে অপহৃত হয় মাত্র ১৪ বছর বয়সী এলিজাবেথ স্মার্ট। অপহরণকারী ব্রায়ান ডেভিড মিশেল এবং তার স্ত্রী এলিজাবেথকে বন্দী করে রাখে এবং মিশেল এলিজাবেথকে জোর করে বিয়ে করে ও ধর্ষণ করে।

তার বাড়ি থেকে আনুমানিক ১৮ মাইল (২৯ কিমি) দূরে ইউটার স্যান্ডিতে খুঁজে পাওয়ার পূর্বে তার বন্দীদশা প্রায় নয় মাস স্থায়ী হয়েছিল।

এই নয় মাস তাকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হতো। কোনো রকম অবাধ্যতা তার জন্যে ভয়ঙ্কর শাস্তি নিয়ে আসতো। ধীরে ধীরে এলিজাবেথ একজন আদর্শ বন্দীতে পরিণত হয়। অনেক সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এলিজাবেথ পরবর্তী নয় বছরে পালানোর কোনো চেষ্টা করেনি।

এমনকি একবার রাস্তায় এক পুলিশ অফিসারের সাথে কথা হলেও সে তার আসল পরিচয় দেয়নি। পরবর্তীতে তাকে অপহরণকারীদের থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয় এবং ঘটনার সাত বছর পরে সে অপরাধীদের চিহ্নিত করতে রাজি হলে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। ২০১১ সালে প্যারোলের সম্ভাবনা ছাড়াই মিচেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

ইতিকথা

দীর্ঘ দিন থেকে চলে আসা নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন, ধর্মীয় কারণে আটক রাখা বা যুদ্ধবন্দি ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে, নিকটাত্মীয় দ্বারা ধর্ষণের স্বীকার, কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিসত্ত্বা ধ্বংসকারী কাজে জড়িত থাকা অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রেই স্টকহোম সিনড্রোমের লক্ষণগুলো বেশী প্রতীয়মান হয় বলে মত দিয়েছেন গবেষকরা।

সিডনি পোলকের পরিচালনায় এবং রবার্ট রেডফোর্ড-ফেই ডুনাওয়ে জুটির অনন্য অভিনয়ে ১৯৭৫ সালের স্পাই-থ্রিলার ‘থ্রি ডেইজ অভ দ্য কন্ডর’ সিনেমাটিতে রয়েছে স্টকহোম সিনড্রোম-এর চমৎকার রেশ।

স্টকহোম সিনড্রোম নিয়ে সিনেমার পাশাপাশি লেখা হয়েছে প্রচুর বইও। Lucy Christopher নামের একজন লেখিকা তাঁর Stolen: A letter to my captor বইটিতে স্টকহোম সিনড্রোম নিয়ে দিয়েছেন দারুণ একটি উক্তি-

“And It’s hard to hate someone, once you understand them.”

তথ্যঃ

১। হিস্টরি

২। উইকিপিডিয়া

৩। কোয়রা

৪। একাধিক ওয়েব পোর্টাল

মনজু
 

Click Here to Leave a Comment Below 0 comments

Leave a Reply: