শারীরিক ভাষা আপনার ব্যক্তিত্বকে বাড়িয়ে তুলবে
শারীরিক ভাষা কি?
শারীরিক ভাষা হল নন-ভারবাল মানে কথা না বলেও এক ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা ; যেখানে আপনার শারীরিক অঙ্গভঙ্গি, মুখের ভাবভঙ্গিমা , চোখের নড়াচড়া, হাত-পা নাড়াচাড়া ইত্যাদির দ্বারা আপনার সম্পর্কে কেউ ধারনা পূষন করতে পারবে বা আপনার চাহিদা বুঝতে পারবে। চাইলে কেউ উইকি দেখে আসতে পারেন। অন্যরা আপনাকে কিভাবে দেখে তার একটা উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে অন্যের চোখে আপনার শারীরিক ভাষা। ব্যক্তিত্বের একটা শক্তিশালী মাধ্যম হল শারীরিক ভাষা। মনোবিজ্ঞানীরাও ব্যক্তিত্বের স্বরুপ হিসেবে শারীরিক ভাষাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলা শারীরিক ভাষার খন্ডাংশ:
প্রায় সব লোকই তার নিজের ব্যাপারে অত্মবিশ্বাসী থাকে এবং নিজের ব্যাপারে আগ্রহী । তো কিভাবে আমরা কথা না বলেও তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি বা আমার ব্যাপারে তাদেরকে আগ্রহী করে তুলতে পারি । হ্যাঁ সেটি হল শারীরিক ভাষা। আপনার ব্যক্তিত্বকে ধারন করে এমন অনেক শারীরিক ভাষা রয়েছে। কিন্ত আজকে মূলত প্রধান শারীরিক ভাষা গুলো নিয়ে আলোচনা করব। চলুন তাহলে দেখি কিভাবে অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ কিংবা তাদের মনের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারি।
প্রান খোলা হাসি
প্রান খোলা হাসি বলতে এমন না খুব জোড়ে হাসতে হবে। কারো সাথে দেখা হলে প্রথমে খুব পিজেটিভ উপায়ে মুখে সহজে হাসি ফুটিয়ে তুলুন। প্রাণ খোলা হাসির মাধ্যমে আপনি যার সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন সহজেই তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন। এই হাসি বলে দিচ্ছে আপনি তার সাথে দেখা করতে এসে আনন্দিত হয়েছেন এবং ঐ ব্যক্তিকে আপনার পছন্দ হয়েছে। তো হাসুন এটা নিশ্চিত অন্যের মনকে প্রভাবিত করে আপনার ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলে।
চোখাচোখি
চোখ শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা অংগ । আপনি যখন কথা বলবেন বা উনি যখন কথা বলবে সম্পূর্ন রুপে তার দিকে থাকিয়ে থাকুন। এমন যেন আপনার চোখ আঠার মত তার দিকে লেগে আছে। এর মানে হল উনি বুঝবে আপনি খুবই মনযোগ দিয়ে তার কথা শুনছেন । তাকিয়ে থাকার মানে হল আই কনট্রাক্ট মানে তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন বা শুনুন । এতে করে তাৎক্ষনিক আপনাকে উনি পছন্দ করবেন। এমনি কথা যখন শেষ হয়ে যাবে সাথে সাথে আপনার দৃষ্টি সরিয়ে নিবেন না। আস্তে আস্তে দৃষ্টি সরিয়ে নিন। এত উনি প্রভাবিত হবেন নিশ্চিত।
শরীরের অবস্থান
আপনি যখন কার সাথে দেখার করতে যান তার দিকে পুরুপুরি ফিরে কথা বলুন। প্রত্যেকটা লোক তার এমনভাবে সচেতন থাকে যে আপনি তাকে কতটুকু গুরুত্ব দিলেন । ৪৫ ডিগ্রি বা ৬০ ডিগ্রি এঙ্গেলে না মানে ঘাড় বাঁকিয়ে কথা বলবেন না। এতে করে বুঝায় যে আপনি তাকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না । যখন কথা বলতে যাবনে অবশ্যই শরীরকে সম্পূর্ণরুপে তার দিকে ঘুরিয়ে স্বাগত বক্তব্য শুরু করুন।
শোনার সময় মাথা নাড়ান
আপনি যখন কারো কথা শুনছেন তখন তার সাথে সম্মতি জ্ঞাপনের জন্যে আপনার মাথাকে হালকা নাড়াতে পারেন। এতে উক্ত ব্যক্তি মনে করবে আপনি তার কথা খুবই গুরত্বসহকারে শুনছেন।
নড়াচড়া না করা
কারো সাথে কথা বলার সময় বা সাক্ষাতের সময় আপনার শরীরকে নাড়াচাড়া করাবেন না । গাল চুলকানো, চুল চুলকানো, বা হাত পা নাড়া চাড়া একদম বন্ধ করুন। এতে যে কেউ বিরক্ত হবে । নাড়া চড়া না করার অর্থ এই না যে আপনি একদম মুর্তির মত দাঁড়িয়ে থাকবেন । রিলাক্স ওয়েতে বসুন বা দাঁড়িয়ে থাকুন। এত অবশ্যই যে কেউ প্রভাবিত হবে।
হাত ব্যবহার
আপনি যখন কথা বলেন তখন হাতের ব্যবহার করুন। তাকে বুঝানোর জন্যে হাত নাড়াচাড়া করতে পারেন । কখনই হাত পিছনে দিকে রাখবেন না বা হাত ক্রস করে বুকের উপর রাখবেন না। এতে করে বুঝায় আপনি কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত। এর ফলে আপনি উনার মনোযোগ হারাবেন।