অনেকেই ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে যে ১০ টি শারীরিক ভাষাগত ভুল করে
শারীরিক ভাষা যেকোন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সব ক্ষেত্রেই আমাদের আমাদের শারীরিক ভাষা ঠিক আছে কিনা সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। যে শারীরিক ভাষাগত ভুল সাধারন সবাই করে সেগুলোর দিকে নজর দিতে হবে।
এমসিকিউ ও রিটেনে টিকার পরে চাকরি নামক সোনার হরিণের ধরতে লাস্ট পর্যায়ে ইন্টারভিউ বা ভাইভা দিতে হয় । প্রার্থী ইন্টারভিউ তথা ভাইবা দিতে গিয়ে বা অন্য কোন ভাইভা দিতে বেশ কিছু শারীরিক ভাষাগত ভুল করে।
১। ক্রস আর্ম বা আড়াআড়ি হাত
অনেকেরই এই ভুলটি হয় । ভাইভা দিতে গিয়ে আড়াআড়াই বুকে হাত দিয়ে বসে থাকে বা দাঁড়িয়ে থাকে। এটি বুঝাচ্ছে যে আপনার মনোযোগের অভাব। যারা আপনার ইন্টারভিঊ নিবে তাদের প্রতি আপনার মনোযোগের অভাব রয়েছে।
২। আঙ্গুল তুলে দেখানো
নিজের অজান্তেই অনেকেই দেখা যায় প্রশ্নকর্তার দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বলতে থাকে। যা উদ্ধতার প্রকাশ করে। প্রশ্নকর্তার কাছে যা একবারেই অগ্রহণযোগ্য.
৩। আই কনন্ট্রাক্ট ভংগ
আপনি যখন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন তখন প্রশ্নকর্তার চোখের দিকে তাকিয়ে উত্তর প্রদান করতে হবে। কোন ক্রমেই অন্য দিকে তাকিয়ে বা নীচে তাকিয়ে উত্তর দেওয়া যাবে না।
৪। অস্বাভাবিকভাবে তাকানো
ইন্টারভিউ বোর্ডে ঢুকার পরে আপনার চেহারা ভঙ্গিমা থাকবে স্বাভাবিক। অস্বাবিকভাবে তাকনো, শুকনো মুখে তাকিয়ে থাকে, ডানে বামে তাকিয়ে থাকা, আক্রমনাত্মক ভাবে বসা বা তাকিয়ে থাকা অথবা অলসভাবে বসা আপনার শারীরিক ভাষার অক্ষমতা প্রকাশ করে । পরিনামে স্বপ্নের চাকরি সহজেই হাতছাড়া হবার সম্ভাবনা থাকে।
৫। অস্বাভাবিক অভ্যাস
আপনি কথা বলছেন সাথে করে চুলে হাত বুলাচ্ছেন। নাক চুলকাচ্ছেন, ঘাড়ের পিছেন হাত দিলেন এই সব কিছু আপনার অস্বাভাবিক আচরন হিসেবে গণ্য হবে।
৬। অতিরিক্ত নড করা
প্রশ্নকর্তা যখন কোন কথা বলে তার মনোযোগ আকর্ষনের জন্যে প্রায়ই আমরা মাথা নাড়িয়ে থাকি। এখন যদি অতিরিক্ত পরিমান নড করতে থাকি সেক্ষেত্রে সামনে বসে থাকা লোকজন বিরক্ত হবে ।
৭। অতিরিক্ত স্নায়ুবিক চাপে ভোগা
ইন্টারভিউ দিতে এই সমস্যাটা প্রায় সবাইকেই পড়তে হয়। নার্ভাস হয়ে পড়ি , কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর তাড়াহুড়া করতে দিতে যাই। আবার অনেকে দাঁত নিয়ে নখ কামড়াতে থাকে। এই ব্যাপারগুলোর দিকে সবাইকেই নজর রাখতে হবে।
৮। পিছনে হাত দিয়ে দাড়ানো
ইন্টারভিঊ বোর্ডে গিয়ে অনেক সময় আমরা পিছনে হাত দিয়ে দাঁড়াই । অনেক সময় আবার স্নায়ুবিক উত্তেজনার ফলে নিজের অজান্তেই হাত পিছনে দিয়ে দেই। অথচ আমাদের উচিত একদম স্বাভাবিকভাবে হাত শরীরের পাশাপাশি রেখে দাঁড়ানো।
৯। বলার সাথে মুখের ভঙ্গিমা প্রকাশে ভিন্নতা
হাসি মুখে আপনি একটা দুঃসংবাদ বলছেন ব্যাপারটা কেমন বাজে হয়ে গেল না ? তাই বলার সময় যাতে আমাদের মুখের ভঙ্গিমা কাছাকাছি থাকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
১০। কনফিডেন্ট হারিয়ে ফেলা
কথা বলার শুরুতেই অনেকে পারবে কি পারবে না এটা মনে করে মুখ পাংশেটে করে ফেলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আপনি পরবর্তিতে আপনার জানা প্রশ্নের উত্তরগুলো আপনার কাছে কনফিউশন কনফিউশন লাগবে।
তাই আমাদের সবারই উচিত কোথাও কথা বলতে গেলে ব্যাপার গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখা।
(রুপান্তরিত)