ডে ট্রিপের নতুন ক্রেজ হতে পারে গজারিয়ার ষোলআনী সৈকত
চারপাশে প্রচুর ভ্রমনপিয়াসু মানুষ। প্রায়ই দেখি বিভিন্ন গ্রুপে ডে ট্রিপের জন্যে অনেকে ঢাকার আশে পাশে লোকেশান সাজেশান চান।
ঢেউয়ের গর্জন, নির্মল মুক্ত বাতাস, নীআকাশ অথবা নৌকায় চরে ঢেউয়ের ছন্দ উপভোগ করতে চাইলে চলে যেতে পারেন মুন্সিগঞ্জের মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার ষোল আনী, দৌলতপুর, ঝাপটা এবং কালিপুর এলাকাজুড়ে এই সৈকতটি বিস্তৃত। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ কিলোমিটার।
সৈকতটি শুস্ক মৌসুমে বালুকাময় এবং বর্ষার কখনো উত্তাল ঢেউ কখনো শান্ত নদী। ৫ কি.মি. দীর্ঘ এই সৈকতে বসে উপভোগ করতে পারবেন সূর্যাস্ত, নীল মেঘের আনাগোনা, দক্ষিণবঙ্গগামী নৌযান। সূর্যাস্তটা এখানে উপভোগ করারই মত। জোয়ারের সময় নদীর পানি ফুলে উঠে তাই সে সময়টায় প্রবল ঢেউ উপভোগ করা যায়। সৈকতে বসার জন্য রয়েছে পাথরের ব্লক।
স্বচ্ছ আকাশে মেঘ দেখে আপনার মনে হবে এ যেন শিল্পির ক্যানভাসে আঁকা কোন জলছবি।
রাতে চলাচলকারী নৌযান গুলো আপনার চিন্তা ভাবনাকে নিয়ে যাবে অন্য জগতে। চাঁদের আলোয় সবচেয়ে সুন্দর থাকে। চাঁদের আলোয় ঝলমল করতে থাকে নদীর পানি, সৈকত টি হু হু বাতাস উপভোগ করার পাশাপাশি সন্ধ্যা থেকে সারা রাত পর্যন্ত আপনি অবলোকন করতে পাবেন দক্ষিণবঙ্গগামী রঙ বেরঙ এর আলোকসজ্জা বিশিষ্ট নৌযান।
সকাল থেকেই বৃষ্টি ছিল আজকে। ষোলআনীতে পৌঁছে আজকে একদম ফাকা পরিবেশ পাই।
যেভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী বাসে চড়ে চলে যান ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড। ভাড়ার ব্যাপারে তেমন আইডিয়া নেই। দুরত্ব অনুসারে মনে হয় ১০০ টাকার মধ্যেই ভাড়া হবে।
সেখান থেকে সিএনজি তে রসুলপুর তারপর আবার সিএনজিতে করে ষোলআনী স্ট্যান্ড।সেখান থেকে হেটে খুব সহজেই চলে আসতে পারেন আমাদের সৈকতে। আপনি চাইলে সিএনজি রিজার্ভ নিয়ে আসতে পারেন ভবেরচর টু ষোলআনী সৈকত।
আপনি যদি বিরক্তিকর বাস ভ্রমন করে না যেতে চান সে ক্ষেত্রেও রয়েছে সুন্দর ব্যবস্থা। সোজা চলে যান সদরঘাট । সেখান থেকে চাঁদপুর অথবা মতলবগামী যেকোনো লঞ্চে করে গজারিয়া লঞ্চ ঘাটে যেতে হবে। ভাড়া ৭০ টাকার আশে পাশে হবে । লঞ্চ থেকে নেমে ট্রলার রির্জাভ করে সরাসরি চলে আসতে পারেন সৈকতে।
গজারিয়া লঞ্চ ঘাট থেকে ষোল আনী সৈকতে ট্রলার ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা রির্জাভ নিতে পারে হয়ত।
সতর্কতাঃ স্থানীয়দের সাথে এমন কোন আচরন করবেন না যেটি শিষ্টাচার বহির্ভূত। গ্রাম্য এলাকা তাই শালীন পোষাক আর আচরন কাম্য। চিপস, বিস্কিটের প্যাকেট, পানি বা কোল ড্রিংক্সের বোতল কিংবা অপচনশীল কোন দ্রব্য ফেলে না আসার অনুরোধ রইল। সর্বোপূরি ভ্রমণে নিজের নিরাপত্তার জন্যে সতর্কতা আবশ্যক।