ঘুরে এলাম সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটা থেকে
ঘুরতে যেতে বরাবরই ভাল লাগে। সময় এবং সুযোগের মিলন ঘটলে চলে যাই কোন বিশেষ স্থানে। অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল কুয়াকাটা যাবার। কোন না কোন কারনে যাওয়া হচ্ছিল না। এবার চলেই গেলাম জাকির আর ফাহাদ ভাই এর সাথে।
কুয়াকাটা যেতে হলে লঞ্চে যাওয়াটাকে আমি প্রাধান্য দিব। ঢাকা থেকে যেতে হলে আপনাকে যেতে হবে সদরঘাট।আপনি ইচ্ছে করলে আমতলী বা পটুয়াখালি যেকোন যায়গায় যেতে পারেন। তবে আমি পটুয়াখালিকে সমর্থন করব যদিও আপনাকে পটুয়াখালী থেকে আবার আমতলী চৌরাস্তা হয়েই যেতে হবে। পটুয়াখালী বলার কারন হল মান সম্মত লঞ্চে যেতে হলে এটা বেস্ট অপশন। সুন্দরবন এবং কুয়াকাটা নামের যে কোন একটা লঞ্চে উঠে যান। বাকিগুলো সম্ভবত লোকাল টাইপের। সুন্দরবন এবং কুয়াকাটাতে সম্ভত ডাবল কেবিনে ভাড়া নিবে ১৫০০-১৮০০ টাকা আর সিংগেলের ভাড়া ১২০০ এর মত । আর ডেকে ২০০-৩০০ এর মত। আমি বলব কেবিনেই যেতে কারন জিনিসপত্র রেখে ঘুরাঘুরি করতে হলে কেবিনই ভরসা। আর দুই জনের অতিরিক্ত যদি যান ডাবল কেবিনে তাহলে অবশ্যই কিন্ত আলাদাভাবে ডেকের টিকেট কেটে নিতে হবে। :/
যদি পটুয়াখালি যান তাহলে লঞ্চঘাট থেকে বাস স্ট্যান্ডে যেতে ১৫ টাকা করে অটো ভাড়া নিবে। বাস স্ট্যান্ড থেকে জিজ্ঞেস করে উঠবেন বরিশালের বাসে যেটা সরাসরি কুয়াকাটা যাবে ভাড়া নিবে ১০০-১১০ টাকা। আমতলী থেকে আমতলী চৌরাস্তায় যেতে ২০-৩০ টাকা নিবে রিক্সাতে। আর আমতলী থেকে ৭০-৮০ টাকা নিবে। কিছু আছে আপনাকে কলাপাড়া নামক ফেরি ঘাটে নামিয়ে দিবে। তো আপনাকে ডিসিশান নিতে হবে। আপনাকে তিনটে ফেরি পাড় হতে হবে কলাপাড়া, সফিপুর এবং অলিপুর। ভালই সময় নষ্ট হবে। মোটমাট ৩ ঘন্টার উপরে ধরতে পারেন পটুয়াখালি থেকে। তবে তারাতারি করতে চাইলে কলাপাড়া পর্যন্ত এসে নৌকা দিয়ে পাড় হয়ে যান। এর পরে মটর সাইকেলে উঠে যান ভাড়া ঠিক মনে নেই । সফিপুর থেকে একইভাবে ২০ টাকায় আপনি অলিপুর পর্যন্ত এবং সব শেষে ২০ টাকা দিয়ে মটর সাইকেলে অলিপুর থেকে কুয়াকাটা পৌছে যান।
২২ এ মার্চ, গন্তব্য ২০১৫ আমতলী। ৫.১৫ এর দিকে লঞ্চে উঠেছি। একটা ডাবল কেবিন নিয়ে নিয়েছি আমরা। ব্যাগ রেখে সদর ঘাটের কালো পানি দেখতে লাগলাম। প্রায় সাথে সাথেই ছেড়ে দিল লঞ্চ। লঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে দু পাশের দৃশ্য দেখতে ভালই লাগে।আর একটি সূর্যাস্তের সাক্ষী হয়ে রাইলাম আমরা। মাঝে মাঝে অপর দিক থেকে দুই একটা লঞ্চ আমাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছে। লঞ্চে ইঞ্জিনের গুড় গুড় শব্দ ছাড়া আর সব কেমন জানি নিরব নিস্তব্ধ । সময়ের সাক্ষী হিসেবে ছবি তুলে নিলাম কিছু। সন্ধ্যার কিছুক্ষন পরেই আমরা রাতের খাবার খেয়ে নিয়েছি। কারনে দেখা যায় একটু দেরি হলে খাবার পাওয়া যায় না।
লঞ্চে কিছু মানুষ নামাজ পড়েছে, আমরাও পড়ে নিলাম। বাঁক ঘুরার সাথে সাথে কেবলার দিক ও পরিবর্তন হয়ে যায়। নামাজের মধ্যেই দেখলাম একজন নিজের দিক পরিবর্তন করে নিয়েছে অদ্ভুত কেমনে সম্ভব । :O
চা দোকানে দেখলাম লুডু বোর্ড পাওয়া যায় । আমরা খাওয়া দাওয়া করে আসার সময় লুডু কিনে নিয়ে এসেছি।কেবিনে এসে একটা ম্যাচ খেলে নিলাম।
দুইটার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি সাড়ে তিনটার দিকে একটা বড় ঝাঁকিতে ঘুম থেকে উঠে পড়ি দৌড়ে বাইরে এসে দেখি চার দিক কুয়াশাচ্ছন্ন কিছুই দেখা যাচ্ছেন না। ন দেখতে পেয়ে সারেং লঞ্চকে একটা চড়ে উঠিয়ে দিয়েছে। প্রায় দুই ঘন্টা পরে অন্যে একটা লঞ্চের সাহায্যে এটাকে আবার তার চলতি পথে ফেরত আনা হয়।
৭ টার পরিবর্তে ১০ টায় আমতলীতে নামি ।চৌরাস্তায় এসে নাস্তা করে রওনা দেই। রাস্তার পাশের দুই ধারের পরিবেশ চমৎকার লাগছিল।
কুয়াকাটা পৌছায় আমরা দেড়টার দিকে। কুয়াকাটা এসেই হোটেল ঠিক করে ব্যাগ রেখে, ড্রেস পরিবর্তন করে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত চলে এসেছি। অবশ্যই দরদাম করে উঠিবেন। দৌড়া দোড়ি, লালা লাফি সব করেছি। বীচে দৌঁড় প্রতিযোগিতা করেছি আমরা তিন জন। দুই বারই এই মঞ্জু ছেলেটা প্রথম হয়েছে। প্রাউড অফ মি। 😛
বীচ থেকে ফিরে ইচ্ছামত সাবান আর শেম্পু দিয়া কইস্যা গোসল করেছি। । এইবার একটা খারাপ খবর দিতে হয় ভাল খাবারের হোটেলের বড় অভাব। লোকাল খাবার মানে শুটকি আর মাছ দিয়ে খাওয়াটাই উত্তম।
যদি কয়েক দিন থাকার জন্যে গিয়ে থাকেন তাহলে বলব প্রথম দিন কাছাকাছি বীচে হাটাহাটি করেই পার করে দিন। রাতের সময়টা বীচে কাটান।
দর্শণীয় স্থানগুলো দেখার জন্যে হোন্ডাই এক মাত্র ভরসা আগের দিন ঠিক করে রাখতে পারেন ইচ্ছে করলে এক দিনে সবগুলো দেখতে চাইলে ৫৩০ টাকা আর দুই দিনে দেখলে ৬০০ টাকার মত নেয় । গলা কাটা সিন্ডিকেট ভাই কিচ্ছুই বলার নাই।
বিকালে মটরসাইকেলে করে প্রথমে গিয়েছি ঝাউবন দেখতে পরে যাই গঙ্গামতির চড়ে যেখানে দাড়িয়ে এক সাথে সূর্যাস্ত আর সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখা যায়।
এগুলো দেখে চলে যাই লেবুর বন। সেখান থেকে গিয়েছি সুন্দরবনের কাছা কাছি একটা যায়গা যা স্থানীয় মোটর বাইকাদের মত যেখান থেকে সুন্দরবনের পূর্বাংশ দেখা যায় তবে ভেবে দেখুন পটুয়াখালিতে সুন্দরবন আসবে কোথা থেকে ! ! আবার ফিরে এসেছি লেবুর চরে। যেখানে বসে আমরা কাঁকড়া খেয়েছি।আগে কোনদিন কাকড়া খাওয়া হয় নি ভালই লাগেছিল প্রথম বলে কথা। তারপর ফিরে এসেছি জিরো পয়েন্টে। আসার পথে শুটকি পল্লিতে শুটকির জন্যে ঢু মেরেছি। পরে অবশ্য অন্য জায়গা থেকে শুটকি কিনে নিলাম আমরা। তখন রাত হয়ে গিয়েছে।
হোটেলে ফিরে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে আবার বের হয়ে পড়লাম। রাতের খাবার খাওয়ার জন্য। যদিও তখনো সন্ধ্যা। রাতের দিকে খাবারের দোকান খোলা থাকবে কিনা ভেবে সাড়ে নয়টার দিকেই রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। খাবার খেয়ে আর রুমে গিয়ে সৈকতে চলে আসি।
সৈকতে সমুদ্রের গর্জন বরাবরই ভালো লাগে। যেন কেউ ডাকে। অনেক দূর থেকে। একটা প্রাকৃতিক নিজস্ব গান যেমন আমরা মেটাল থেকে রক , ক্লাসিক শুনি এই ধরনের কোন একটা মনে হয় । স্বচ্ছ আকাশে অনেক গুলো তারা, মিটিমিটি জ্বলছে। প্রেম করার ব্যাপক সুন্দর আবহাওয়া। 😛 এক বুড়ো লোক দো-তারা বাজাচ্ছিল। বসে বসে তার দোতারা শুনি। ততক্ষনে আবার সমুদ্রের গর্জনে মন দিয়েছি। অন্য রকম আরেকটা সুর, প্রাকৃতিক সুর। কতক্ষন বসে ছিলাম মনে নাই সম্ভতি ফিরলে দেখি ১২ টা বাজে । রাত যত গভীর হবে দেখবেন সমুদ্রের গর্জন যেন তত বেড়ে যাচ্ছে। নিজের দুঃখগুলোকে ঢেলে দিতে পারেন গর্জনের সাথে সাথে । 🙁
পরের দিন সকালে মোটর চাইকেল ওয়ালা কল দিয়ে ঘুম থেকে জাগালো। আরেকটি দিন, মঙ্গলবার। সকালে আবার গিয়েছি গঙ্গামতির চরে সূর্যদয় দেখতে । আজকে সূর্যটা কেমন জানি খাপ ছাড়া উঠেছে একটু পর থেকে। :/
কাছেই রয়েছে একটি চায়ের দোকান রয়েছে। আসে পাশে কোন বসত বাড়ি নেই। জিজ্ঞেস করায় বলল ক্রেতা হল জেলেরা, আর ট্যুরিস্টরা কিছু খেলে খাবে, না খেলে নেই। কিন্তু জেলেরা ঐ দোকানের নিয়মিত কাস্টোমার। আমরা সেখানে গিয়ে চা বিস্কিট আর কলা খেলাম।
তারপর গিয়েছি কাউয়ার চর। তার জন্য ক্যানেল পার হতে হয়েছে। ক্যানেল পাড় হওয়ার জন্য একটা নৌকা উঠেছি, মোটর সাইকেল সহ। কাউয়ার চরের পর হচ্ছে লাল কাঁকড়ার দ্বীপ। কাঁকড়া গুলো উঠে সূর্য ভালো করে উঠলে। আমরা সকালেই ঐখানে গিয়েছি, তাই কাঁকড়া গুলো দেখতে পারিনি ঠিক মত। অল্প কিছু কাকরা হেটে বেড়াচ্ছিল তখন কাঁকড়া গুলো নাকি বের হয়ে পুরো সৈকত লাল করে ফেলে।
ঐখান থেকে গিয়েছি বৌদ্ধ মন্দির। মন্দিরটি শহরের কুয়াকাটার ভেতরের দিকে। সমুদ্র সৈকত থেকে দূরে। মন্দিরের পাশেই হচ্ছে রাখাইন পল্লি। রাখাইনদের কাছ থেকে আমরা সবাই কিছু কিছু জামা কাপড় কিনে নিলাম বাড়ির জন্য।
এরপর আবার চলে আসি জিরোপয়েন্টের কাছা কাছি কুয়াকাটার কুয়া নামে পরিচিত কুয়ার কাছে। যে কুয়ার নামেই এই কুয়াকাটা। কুয়ার পাশে আরেকটি বৌদ্ধ মন্দির। জানা যায় কয়েক প্রজন্ম আগে উনাদের পূর্ব পুরুষরা মায়ানমার থেকে এসে এই মন্দির স্থাপন করেছে। মন্দিরের ভেতরের রয়েছে গৌতম বুদ্ধের আরেকটি মুর্তি , এটা ছোট মুর্তি। মন্দিরের বাহিরে রয়েছে একটি ছিওয়ালি আর্হাৎ [Shivali Arhan] এর একটা মুর্তি। ছোট ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার খরচের জন্যে মন্দিরে একটা দান বাক্স রয়েছে । আসার সময় কিছু টাকা দিয়ে আসি।
রুমে ফিরে আবার বের হয় জাকির আর ফাহাদ ভাই চলে যায় কাকড়া খাবে নাকি আবার। আমি সৈকতে হাটাহাটি করে কাটাই। রোদে পুড়াই চামড়াকে। আর পর্যটকদের দেখছিলাম। এভাবে ১২টা ভেজে গেলো। রুমে ফিরে ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে পড়লাম। ব্যাগ সকালেই গুছিয়ে রেখেছি। চলে আসতে হল হঠাৎ করে আমার জরুরি একটা কাজ দেখা দেওয়া । আরো দুই একদিন থাকার ইচ্ছে ছিল। আমি একাই চলে আসতে চেয়েছিলাম । পরে ওরাও আমাকে একা আসতে দিবে না। ফিরতে পথেও তিনটা ফেরি পার হতে হবে । কুয়াকাটা থেকে প্রথম ফেরি পর্যন্ত এসেছি মোটর সাইকেল দিয়ে। এরপরের ফেরি পর্যন্ত ও এসেছি মোটর সাইকেল দিয়ে। তাপররও একটা বাসে উঠে বসেছি।সামনে বসেছি চারপাশ ভালভাবে দেখার জন্যে বাসে উঠেই জাকির ঘুমিয়ে পড়ে সাথে কেউ থাকলে উনাদের উপর নির্ভর করে আমি নিশ্চিন্ত ঘুম দেওয়া যায় যার সদ ব্যবহার করেছে এই ভদ্রলোক। পটুয়াখালি বাস স্ট্যান্ড নেমে ভালো কোন খাবার দোকান খুঁজে পাচ্ছি না। না পাওয়ার কারণে একটা মসজিদে এসে ফ্রেস হয়ে নামাজ পড়ে নিলাম। জোহরের নামাজ আবার তারপর আবার ভাল খাবারের রেস্টুরেন্ট খুঁজতে লাগলাম। পাই নি, লঞ্চ ঘাট চলে এসেছি এরপর। লঞ্চ ঘাটে এসে একটি হোটেলে খিচুড়ি খেয়ে নিয়েছি। খিচুড়ির পর ডাব। তারপর সুন্দরবন-৯ লঞ্চে উঠে পড়ি আল্লাহর নাম নিয়ে। 😀
রাতে খাবার সময় ব্যাপক মজা হয়। জাকির মরিচের ভর্তা অর্ডার করে । আমি আর ফাহাদ ভাই খাব না। আনার আমি আর ফাহাদ ভাই হামলে পড়ে। ওয়েটার আর একটা নিয়ে আসলে সেটাতেও হামলে পড়ি। 😛 শেষটা খেয়ে সবার চোখ দিয়ে পানি পড়া শুরু ! দারুণ লেগেছে।
রাতটা নির্ঘুম কাটিয়ে দেই আমি। জাকির আর ফাহাদ ভাই ঘুমে অজ্ঞান । ডেকে বসে অতিতের হিসাব মিলাচ্ছিলাম।
সাড়ে ৫টার দিকে লঞ্চটি নারায়নগঞ্চে থেমেছিল। সেখান থেকে সদর ঘাট। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম। সদরঘাট নেমে একটা রিক্সা নিয়ে বাসার উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিলাম গল্প আড্ডা দিতে দিতে। ততক্ষণে পূর্বদিকে একটা লাল টুকটুকে সূর্য উঁকি দিল।
যারা কুয়াকাটা যেতে চান, তাদের জন্য কিছু তথ্যঃ
ঢাকা থেকে যারা যেতে চান, তারা সদরঘাট থেকে থেকে পটুয়াখালি গেলে ভালো হবে। সাধারনত ৪- ৬ টা মধ্যে লঞ্চগুলো যায়। পটুয়াখালির লঞ্চ গুলো বড়। আমতলীও যেতেপারেন। আমতলীর যে লঞ্চ গুলো যায়, সে গুলো ছোট। সময় ও বেশি লাগে। সুন্দরবন আর কুয়াকাটা নামে দুটি লঞ্চ ভাল সার্ভিস দেয়।
একটু আগে আগে চলে গেলে , একটু দামাদামি করে কেবিন নিয়ে নিন। সামনের দিকেই ভাল আমার মতে। ডাবল কেমন ১৫০০-১৮০০ আর সিংগেল কেবিন ১২০০ এর মত নিবে। দুই জনের অতিরিক্ত গেলে ডেকের টিকেট কাটতে হবে। আর তারাতারি রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে না হলে পাওয়া যাবে না। কুয়াকাটা অটোতে বাসস্ট্যান্ড যেতে হবে ১৫ টাকা পার পিস। 😀 এর পরে বাসে কলাপাড়া পর্যন্ত ১০০-১১০ টাকা করে ভাড়া নিবে। ঐখান থেকে মোটর সাইকেলে করে চলে যান পরবর্তি ফেরিগুলো পার হয়ে কুয়াকাটা সৈকতে।
ইচ্ছে করলে আপনি বাসেও যেতে পারেন তবে সেটা থেকে লঞ্চেই ভাল ।